দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলিতে দিন দিন শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিনের শীতের তীব্রতায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ভোরের দিকে পাকা পিচঢালা রাস্তাগুলি শিশিরের কারনে ভিজে যাচ্ছে ।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জ্বল হোসেন জানান, “আজ শুক্রবার ভোর রাতে তাপমাত্রা নেমে আসে ১১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে । দুই এক দিনের মধ্যে মৃদু শৈত্র প্রবাহ শুরু হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন ।”
একতার প্রতিবেদক জানান, দিনাজপুরে ভোরের বৃষ্টির মত কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে। রাস্তা পাশে ছিন্নমুল মানুষগুলি আগুন জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিভারনে জন্য চেষ্টা করছে। কেউ কাজের সন্ধানে ঠান্ডা উপক্ষো ঘর থেকে বের হলে কাজের সন্ধান পাচ্ছেন। ছোট বড় প্রায় সকল যানবাহনগুলি হেড লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। আবার হিমালয়ের হিমেল ঠান্ডা বাতাস আর ঘনকুয়াশায় ছিন্নমুল মানুষগুলি কাতর হয়ে পড়েছে। পরিবার পরিজন নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে খেটে মানুষেরা। ভোরের দিকে হিমেল হওয়া যেন ঠান্ডার মাত্রা আরও বৃদ্ধি করে। ভোরের দিকে কুয়াশা ও শিশির কনা ঠান্ডা স্থায়ী করে রাখে। মোটা কাপড় পড়ে বের হতে হয়। ভোরের দিকে কুয়াশা চারদিক ডাকা থাকে। নিম্ন আয়ের মানুষের মোটা কাপড়ের আপেক্ষায় আছে। বিশেষ করে বয়স্ক মানুষের কম্বলের প্রয়োজন।
বিশেষ করে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকে চারদিক। সব কিছুই দেখা যায় ধোঁয়াশার মত। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মত ঝড়তে থাকে হিম কুয়াশা। এতে করে বৃদ্ধ ও শিশুদের নিয়ে চরম ভোগাান্তিতে পড়েছে পরিবারের লোকজন। ঘন কুয়াশায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। দিনেও হেড লাইট জালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
সেই সাথে নদীর তীরবর্তী প্রান্তিক চাষিদের মাঝেও বেড়েছে দুর্ভোগ। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছেন খামারি ও অন্যান্যরা। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও শীতের ব্যাপক প্রভাব পড়তে দেখা গেছে।