রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন পেলেও একই আইনে তার বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন থাকায় তিনি কারাগার থেকে বের হতে পারছেন না।
আজ (২৪ নভেম্বর) মঙ্গলবার কাজলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই জামিন দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী রিপন বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পি।
আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আইনে আছে, ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত শেষ করবেন। তা না হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে আরও ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন। এরপরও যদি তদন্ত শেষ না হয়, তাহলে সাইবার ট্রাইব্যুনালে লিখিত দিয়ে অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন। কাজলের দুই মামলার ক্ষেত্রে ৭৫ দিনের সময়কাল ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। তদন্ত শেষ হয়নি। এ ক্ষেত্রে দুই মামলার একই তদন্ত কর্মকর্তা অনুমতি নিয়েছেন কি না, তা ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তের জন্য ৭৫ দিনের মেয়াদ শেষে তদন্ত প্রতিবেদন না দিলে অন্য কেউ সময় বাড়াতে অনুমতি নিয়েছেন কি না, অনুমতি দিলে তা কীভাবে দেওয়া হয়েছে, তা ট্রাইব্যুনালকে জানাতে বলা হয়েছে।
কাজলের আইনজীবীরা গত মাসের শুরুর দিকে হাইকোর্ট বিভাগে জামিন আবেদন করেছিলেন। শেরেবাংলা নগর থানায় মাগুরা-১ আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখরের দায়ের করা মামলায় কাজলকে আজ জামিন দেন আদালত।
কাজলের নামে হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আরও দুটি মামলা দায়ের হয়। ওই দুটি মামলা বিবেচনা করতে আদালতের আরও সময় প্রয়োজন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর আদালত পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন বলে জানান কাজলের আইনজীবীরা।
সাংবাদিকদের হয়রানি করায় ডিজিটাল নিরপত্তা আইনটি নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকার গোষ্ঠীর কাছে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর থেকে মোট ১৩ বার কাজলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে।