চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ন শাখা সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে গেছে তিন যুবক। এ ঘটনায় জড়িত কাউকে এখনো চিহ্নিত করা যায়নি।
আজ রবিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
সোনালী ব্যাংক উথলী শাখার ব্যবস্থাপক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, এদিন দুপুর ১টার দিকে ব্যাংকের সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যার যার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় তিনজন ব্যক্তি হেলমেট পরা অবস্থায় ব্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা প্রথমে নিরাপত্তা রক্ষীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গেট বন্ধ করে দেয়। ব্যাংকে উপস্থিত সবাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সকলের নিকটে থাকা মোবাইলগুলো ছিনিয়ে নেয়। তারা আমাদের গুলি করার হুমকি দেয়। ব্যাংকের সবাইকে জিম্মি করে প্রায় ৯ লাখ টাকা নিয়ে তারা দ্রুত সটকে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলে তারা পালানোর সময় ইট-পাটকেল মারা শুরু করলে ডাকাত দলের এক সদস্যের মাথায় লাগে। এ সময় ডাকাত দলের এক সদস্য পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করতে উদ্যত হলে আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ি। তারা মোটরসাইকেলে দ্রুত পালিয়ে যায়।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন, সোনালী ব্যাংক উথলী শাখা থেকে ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা লুট হওয়া খবর পেয়ে আমরা লুটেরাদের আটক করার চেষ্টা চালাচ্ছি। দ্রুতই তাদের আটক করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালেও ব্যাংকের এই শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোনালী ব্যাংক লি. প্রিন্সিপাল অফিস চুয়াডাঙ্গা শাখার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার খন্দকার আব্দুস সালাম জানান, ব্যাংকে কোনো সিসি ক্যামেরা না থাকায় ও প্রহরীদের কোনো অস্ত্র না থাকায় দুর্বৃত্তরা এমন ঘটনা ঘটাতে পেরেছে।