দীর্ঘ ৭ মাসের বেশি সময় ধরে জুলুমের শিকার ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিকদের সাথে চুক্তি ভঙ্গের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে আইননানুগ পাওনা পরিশোধের দাবিতে আগামীকাল (৮ নভেম্বর) রবিবার, সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ভূখা মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
ড্রাগন গ্রুপের শ্রমিকরা শূন্য থালা হাতে মিছিলে অংশগ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুসারে আজ (৭ নভেম্বর) শনিবার ড্রাগন গ্রুপের পাঁচ শতাধিক শ্রমিকের আইননানুগ পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও চুক্তি ভঙ্গ করেছে মালিকপক্ষ। আজ শ্রমিকরা পাওনা টাকার প্রথম কিস্তি আনতে কারখানায় গেলে চুক্তি অনুসারে শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিট, অর্জিত ছুটি ও প্রভিডেন্ট ফান্ড পরিশোধে মালিকপক্ষ অস্বীকৃতি জানায়।
তারা চুক্তি ভঙ্গ করে ৮৭ জনের শুধুমাত্র প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ জমাকৃত অর্থ ফেরত দেয়া এবং ৮৯ জনের প্রভিডেন্ট ফান্ড বাবদ জমাকৃত অর্থ ফেরত দেয়ার পাশাপাশি সার্ভিস বেনিফিট বাবদ প্রাপ্য অর্থের আংশিক পরিশোধের প্রস্তাব দেয়।
একইসাথে এই অর্থ গ্রহণ করে ‘না দাবিপত্রে’ স্বাক্ষর দেয়ার জন্য শ্রমিকদের জোর করা হয়। অবশিষ্ট তিন শতাধিক শ্রমিক কোনো পাওনা পাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়া হয়। উপস্তিত শ্রম পরিদর্শকগণ চুক্তি প্রতিপালনের জন্য মালিকপক্ষকে বার বার বললেও মালিক শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধে অস্বীকৃতি জানায়।
এদিকে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাড. মন্টু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার এক বিবৃতিতে বলেন, মহামারি পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শ্রমিকদের আইননানুগ পাওনা বঞ্চিত করে ড্রাগন কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করে। পরবর্তীতে দীর্ঘ সাত মাস লাগাতার আন্দোলন করার মধ্য দিয়ে গত ১২ অক্টোবর ২০২০, ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, শ্রমিকরা আইননানুগ প্রাপ্য হতে অর্ধেকের বেশি পাওনা ছেড়ে দিয়ে সমঝোতা চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল। বিরাট আর্থিক ক্ষতি মেনে নিয়ে শ্রমিকরা যে চুক্তি করেছে তা ভঙ্গ করে মালিকপক্ষ প্রমাণ করেছে তারা দেশের আইন এবং শ্রমিকের অধিকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাশীল নয়। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে চুক্তি প্রতিপালনে মালিককে বাধ্য করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।