সারাদেশের ১ হাজার ৬৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নতুন এপিওভুক্তি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ স্তরে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্তির কোড যুক্ত করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত আলাদা আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪৩০টি, উচ্চ মাধ্যমিক (কলেজ) পর্যায়ের ৯২টি, মাধ্যমিক পর্যায়ের ৯৯১টি, স্নাতক (পাস) পর্যায়ের ৫২টি এবং উচ্চ মাধ্যমিক (স্কুল অ্যান্ড কলেজ) পর্যায়ের ৬৮টি প্রতিষ্ঠানকে কোড দিয়ে আলাদা আদেশ জারি করা হয়েছে।
শিক্ষক কর্মচারীরা ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকেই বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন বলে আদেশে বলা হয়।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী চূড়ান্তভাবে নির্বোচিত এসব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে এমপিও কোডসহ বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত ও যোগ্য শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদি দেওয়ার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ সংক্রান্ত আদেশে বলা হয়েছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন। তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিয়োগকালীন সময়ের বিধিবিধান, পরিপত্র, জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্যতা বজায় রাখতে ব্যর্থ হলে সে প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত করা হবে।
নিয়মানুযায়ী এখন প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক-কর্মচারীদের অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই করে তাদের এমপিও কার্যকর করবে অর্থাৎ, তারা বেতন-ভাতা পাবেন।