ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্যে অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ-দৌলাসহ ৪ জন হাইকোর্টে আপিল করেছে।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাদের পক্ষে আপিল আবেদন জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জামিউল হক ফয়সাল।
আসামিরা হলেন- মাদরাসা অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা, নুর উদ্দিন, উম্মে সুলতানা পপি ও জাবেদ হোসেন।
আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে গত ২৪ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করা হয়। সাত মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ৬১ কার্যদিবস শুনানির পর এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন- সোনাগাজী মাদরাসার বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ এস এম সিরাজ উদ দৌলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মো. রুহুল আমিন, ছাত্র নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন ওরফে শামীম, পৌরসভার কাউন্সিলর মাকসুদ আলম, সাইফুর রহমান মো. জোবায়ের, জাবেদ হোসেন ওরফে শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, শিক্ষক হাফেজ আবদুল কাদের, প্রভাষক আবছার উদ্দিন, নুসরাতের সহপাঠী কামরুন নাহার মণি ও উম্মে সুলতানা পপি; আবদুর রহিম শরীফ, ইফতেখার উদ্দিন রানা, ইমরান হোসেন ওরফে মামুন, মো. শামীম ও মহি উদ্দিন ওরফে শাকিল।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছিলেন নুসরাতের মা শিরিন আখতার। ওইদিনই অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
৩ এপ্রিল খুনিরা সিরাজের সাথে জেলখানায় পরামর্শ করে ৪ এপ্রিল মাদরাসার ছাত্রাবাসে নুসরাতকে খুন করার পরিকল্পনা নেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ এপ্রিল নুসরাত মাদরাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে খুনিরা পরিকল্পিতভাবে সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় গত ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।