স্বাস্থ্যসেবা দিতে আসছে রোবট-মানবী গ্রেস
করোনাকালে বয়স্ক এবং যারা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দীর্ঘদিন ধরে গৃহবন্দি, তাদের সঙ্গে কথা বলে স্বাস্থ্যসেবা দেবে গ্রেস৷
কে এই গ্রেস?
গ্রেস কোন রক্ত-মাংসের মানুষ নয়। হংকংয়ের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিকসের তৈরি করা রোবটমানবী হল গ্রেস৷
করোনা সংকটে স্বাস্থকর্মীদের তাদের সহায়তার জন্যই হ্যানসন রোবটিকস নিয়ে এসেছে গ্রেসকে৷
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
গ্রেসের দক্ষতা অসাধারণ। ইংলিশ, ম্যানডারিন এবং ক্যান্টোনিজ- এই তিনটি ভাষায় কথা বলতে পারে সে৷
এশিয়ার দেশ হংকংয়ে তৈরি বলে গ্রেসের চেহারাও একেবারে এশীয়দের আদলের৷ নীল পোশাক পরা গ্রেসকে প্রায় কাঁধ পর্যন্ত নামা বাদামি চুলে খুব স্মার্ট দেখায়৷
আর্টিফিসিয়েল ইন্টেলিজেন্সের গুণে মানুষের সঙ্গে নির্দিষ্ট বিষয়ে অনায়াসে কথা বলতে পারে গ্রেস৷ তাছাড়া বুকে একটা থার্মাল ক্যামেরা ফিট করা আছে বলে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা মেপে নিতেও কোনো অসুবিধা হয় না তার৷
হ্যানসন রোবটিকস জানিয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে হংকং, চীন, জাপান এবং কোরিয়ায় এ ধরনের রোবট উৎপাদন পুরোদমে শুরু করা হবে৷ খুব কম সংখ্যক বানানোয় আপাতত প্রতিটি রোবটের দাম একটি বিলাসবহুল গাড়ির মতো হলেও ভবিষ্যতে শত শত তৈরি শুরু হলে গ্রেসের দাম অনেক কমে যাবে বলে হ্যানসন রোবটিকসের ধারণা।
উল্লেখ্য, এর আগে একই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হ্যানসন রোবটিকস ২০১৭ সালে রোবট-মানবী সোফিয়ার ‘জন্ম’ দিয়ে রীতিমতো তোলপাড় তুলেছিল। সেই সময়ে সোফিয়াকে দেখে, তার কথা শুনে অবাক হয়েছিল সবাই৷ সৌদি সরকার তো মুগ্ধ হয়ে নাগরিকত্বও দিয়েছিল সোফিয়াকে৷ সেই হ্যানসন রোবটিকসই এবার নিয়ে এসেছে গ্রেসকে৷