সিলেটে ভয়াবহ বন্যা, বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় ২ লাখ মানুষ
সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ এই অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। প্রায় পৌনে দুই লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছেন। পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আড়াইশ বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে সিলেট নগরের কুমারগাঁও ১৩২/৩৩ কেভি গ্রিড উপকেন্দ্রও বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনটা হলে পুরো সিলেট জেলা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়বে।
এদিকে সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় বন্যার কারণে সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ইতোমধ্যে স্থগিত করা হয়েছে। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- সিলেটে এ বছর ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ১৪৯ পরীক্ষা কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্টিত হবে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় ২৫ জুন পর্যন্ত সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ৷ পিছিয়ে দিয়েছে পরীক্ষাও৷
এছাড়াও সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক পানিতে তলিয়ে গিয়ে সারা দেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জেলার প্রায় সব উপজেলাই কমবেশি প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক লাখ মানুষ।
শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ ও গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশিরভাগ এলাকাই পানিতে তলিয়ে গেছে। জৈন্তাপুর ও কানাইঘাট উপজেলারও বিস্তীর্ণ এলাকাও পানিবন্দি। পানি বাড়ছে সিলেট সদর, দক্ষিণ সুরমা, জকিগঞ্জ ও বিশ্বনাথ উপজেলায়। নগরীর অনেক এলাকা এখন পানির নিচে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার এবং সিলেট পয়েন্টে ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার উপরে রয়েছে। পানির উচ্চতা বেড়েছে কুশিয়ারা ও লোভা নদীরও। কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার উপরে বইছে।
এদিকে বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিলেট নগরে ৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে সিলেট সিটি করপোরেশন।