লকডাউন: বন্ধ গণপরিবহন, অফিস খোলা, যাত্রীদের দুর্ভোগ
সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ শুরুর আগে সীমিত বিধিনিষেধে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিংমল। কিন্তু গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছে কর্মজীবী যাত্রীরা।
এদিকে গণপরিবহণ বন্ধ থাকলেও রাজধানী ঢাকার রাস্তায় কমেনি যানজট। আজ সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে প্রচুর প্রাইভেট কার, মোটার বাইক আর রিকশার ভীড় দেখা গেছে।
দূরের কর্মস্থলে যেতে রাস্তায় গাড়ি না পেয়ে অনেকে রিকশা বা ভ্যানে করে রওনা হয়েছেন। অনেকে আবার পায়ে হেঁটেই গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।
যাত্রীদের অভিযোগ ‘ভাড়া বেশি’ নেওয়া হচ্ছে। গণপরিবহন বন্ধের সুযোগে যাত্রীদের কাছে ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকছেন চালকেরা৷ অনেকে বাধ্য হয়েই অতিরিক্ত ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন৷ তবে এই প্রতিবেদকের কাছে রিক্সা ও অটোরিক্সার চালকেরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেন৷
এদিকে কাঁচাবাজারে নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কাঁচাবাজার চালু রাখার নির্দেশনা থাকলেও সরেজমিনে তার ছিটেফোঁটাও দেখা যাচ্ছে না৷ বাজারের কয়েকজনের সাথে এ ব্যাপারে কথা বললে তারা জানান, এখানে এত কিছু মানা সম্ভব না৷
অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা এরকম সিদ্ধান্তে বিক্ষোভ প্রকাশ করেছে। লকডাউনের প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনে ঢাকার নীলক্ষেত মোড় এবং নিউমার্কেট এলাকায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ তাদের দাবি, অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারাও ব্যবসাপরিচালনা করতে চান৷ এজন্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিও পেশ করেছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে আনতে সোমবার থেকে সারাদেশে ‘কঠোর লকডাউন’ জারির ঘোষণা শুক্রবার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শনিবার জানানো হয়, সেই লকডাউন ১ জুলাই থেকে শুরু হবে। তার আগে সোমবার থেকে তিন দিন থাকবে ‘সীমিত লকডাউন’।
এই সময় পণ্যবাহী গাড়ি ও রিকশা ছাড়া সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। সব শপিং মল, মার্কেট, পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র খুলবে না। খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা নাগাদ শুধু খাবার বিক্রি করতে পারবে। সরকারি-বেসরকারি সব অফিস খোলা থাকবে সীমিত জনবল নিয়ে। সেই সব কর্মচারীদের অফিসের ব্যবস্থাপনায় আনতে হবে।