যুদ্ধাবস্থায় সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার অপেক্ষা
যুদ্ধাবস্থার কারণে সুদানে ছয়শ’র বেশি বাংলাদেশি অপেক্ষা করছেন দেশে ফেরার জন্য। পোর্ট অব সুদানের একটি ক্যাম্পে বাংলাদেশিরা জড়ো হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিবিসি বাংলা (অনলাইন) –এর এক প্রতিবেদনে সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদকে উদ্ধৃত করে এসব খবর পরিবেশন করা হয়।
সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার জন্য এখন সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের সাথে কাজ চলছে বলেও রাষ্ট্রদূতের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশিদের প্রথমে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনার চেষ্টা চলছে। এখন বিষয়টি নির্ভর করছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জাহাজ পাওয়ার উপর। সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জাহাজ পেলে সমুদ্রপথে বাংলাদেশিদের জেদ্দায় আনা হবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, “যদি ৪ তারিখেও তারা জেদ্দা পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তাহলে ৫ তারিখ রাতের ফ্লাইট তারা ধরতে পারবে বলে আশা করছি। তবে পুরো বিষয়টি একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রতিটি ধাপের কাজ সঠিকভাবে শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ধারণা করা হচ্ছে, সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি বাংলাদেশ দূতাবাসও জানেনা। সেখানে যুদ্ধ শুরুর পর দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দূতাবাসের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত সাতশ বাংলাদেশি রিপোর্ট করেছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
আগ্রহী বাংলাদেশিদের সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি বাসে করে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে পোর্ট অব সুদানে আনা শুরু হয়।
প্রায় এগারো ঘণ্টার বাস ভ্রমণ করে খার্তুম থেকে পোর্ট অব সুদানে এসেছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি। খার্তুম থেকে এ বন্দরটির দূরত্ব আটশ কিলোমিটারেরও বেশি।
উল্লেখ্য, সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি তুমুল সহিংসতা শুরু হয়।
সুদানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জেনারেলদের একটি কাউন্সিল দেশটি পরিচালনা করছে। এই কাউন্সিলের শীর্ষ দুই সামরিক নেতাকে ঘিরেই এই লড়াই।
এরা হলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং দেশটির উপ-নেতা ও আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো।
এই দুই জেনারেল দেশটি পরিচালনা করে আসছিলেন। আগামীতে দেশটি কিভাবে পরিচালিত হবে এবং দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।
এদিকে খার্তুম শহরে বোমা বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ আগেই তাদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়।
সুত্র: বিবিসি বাংলা (অনলাইন)।