যুক্তরাষ্ট্র সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ল, তালেবানের দখলে বিমানবন্দর
সোমবার মধ্যরাতে দুই দশকের যুদ্ধ শেষে আফগানিস্তান ছেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ সামরিক বিমান। আপাতভাবে শেষ হলো ২০ বছরের যুদ্ধ।
বারোটা বাজার এক মিনিট আগে শেষ মার্কিন বিমান সমস্ত সেনাকে নিয়ে আফগানিস্তান ছেড়ে উড়ে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই কাবুল বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ে তালেবান।
তালেবান মুখপাত্র জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দর এখন তাদের হাতে। এতদিনে আফগানিস্তান সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপি’র এক সংবাদ প্রতিবেদনে আজ এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এর আগে মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কম্যান্ড কম্যান্ডার জেনারেল ফ্রাঙ্ক ম্যাকেঞ্জি এর কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি বিবৃতি দেন। সেখানে বলা হয়, ”শেষ মার্কিন বিমান আফগানিস্তানের মাটি ছেড়েছে। এর মাধ্যমে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের মিলিটারি মিশন শেষ হলো। মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরানোর যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল, তারও সমাপ্তি ঘটল।”
ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, মার্কিন এবং যৌথবাহিনীর সেনা সব মিলিয়ে গত দুই সপ্তাহে অন্তত এক লাখ ২০ হাজার মানুষকে উদ্ধার করে আফগানিস্তান থেকে অন্য দেশে পাঠিয়েছে। তবে সকলকে উদ্ধার করা যায়নি বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন ম্যাকেঞ্জি।
ম্যাকেঞ্জির বিবৃতির কিছুক্ষণের মধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন আরো একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। সেখানে বলা হয়, দুইশর কম কিন্তু একশর বেশি মার্কিন নাগরিককে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করা যায়নি। তারা আফগানিস্তান ছাড়তে চেয়েছিলেন। কিন্তু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মার্ক্নি সেনা তাদের উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে শেষ মার্কিন বিমান কাবুল বিমানবন্দর ছাড়তেই সেখানে ঢুকে পড়ে তালেবান যোদ্ধারা। শুরু হয় উৎসব। গোটা কাবুল জুড়েই আকাশে গুলি ছোড়ার শব্দ শোনা যায়। কাবুল বিমানবন্দরের ভিতরেও তারা শূন্যে গুলি চালিয়ে উৎসব করে।
তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ”মার্কিন সেনা কাবুল বিমানবন্দর ছেড়েছে। আমাদের দেশ এতদিনে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা পেল।”
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার কিছুদিনের মধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, ৩১ অগাস্টের মধ্যে অ্যামেরিকা আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সেনা সরিয়ে নেবে। বস্তুত এর আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আরো আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন।