মোদিবিরোধী আন্দোলনঃ ছাত্র জোটের মিছিলে ছাত্র লীগের হামলা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার হোতা হিন্দুত্ববাদী আরএসএস’র প্রচারক উগ্র সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। হামলায় জোটের দশ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের নেতা তমার মাথায় গুরুতর চোট লেগে মাথা ফেটে গেছে বলে জানা যায়। এছাড়াও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা সুমাইয়া সেতু, মেঘমল্লার বসু, আসমানি আশাসহ অনেকেই আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যায়।
আজ (২৩ মার্চ) মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে মোদির প্রতীকী কুশপুত্তলিকা দাহ করার সময় এই হামলা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রগতিশীল ছাত্রজোটের নেতৃবৃন্দ দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।
এই হামলার জবাবে সর্বস্তরে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ছাত্র-জনতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের রক্তার্জিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে নিজ দেশে গণহত্যার মদতদাতা, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের ওপর ক্রমাগত হুমকি সৃষ্টি করতে থাকা উগ্র সাম্প্রদায়িক ফ্যাসিস্ট নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানোর মাধ্যমে। তারই প্রতিবাদে
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের প্রতি ছাত্রলীগের এই সন্ত্রাসী প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন জনভিত্তিহীন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকতে বিদেশি শক্তির ওপর নির্ভরশীলতারই বহিঃপ্রকাশ। এই সরকার টিকে আছে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে, দেশের সার্বভৌমত্বকে ক্ষমতার বিনিময়ে বিদেশিদের কাছে বিকিয়ে দিয়ে।
এর আগে মোদির আগমনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রজোটের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি টিএসসি থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ ঘুরে আবার টিএসসির পাশে ডাস চত্ত্বরে আসলে সেখানে হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
প্রথম হামলায় জোটের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে কুশপুত্তলিকা কেড়ে নিলে তারা মোদির ছবিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ফের হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
হামলায় কয়েকজন ফটো সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছে। ছাত্রজোটের একজন নারী কর্মীর মাথা ফেটে গেলে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখা গেছে। পরে ছাত্রজোটের নেতাকর্মীদের ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।