মেঘদলের বিরুদ্ধে মামলা তদন্তে পিবিআই
ব্যান্ডদল মেঘদলের ৭ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা কথিত ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’র মামলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
সাম্প্রতিক সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কর্তৃক আয়োজিত সহিংসতা বিরোধী কনসার্টে দলটির ‘ওম’ নামের একটি গান পরিবেশন করার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলায় আসামি করা হয়েছে মেঘদলের শিবু কুমার শীল (গায়ক), মেজবাউর রহমান সুমন (গায়ক), রাশিদ শরীফ শোয়েব (গিটারবাদক ও গায়ক), এম জি কিবরিয়া (বেজ গিটারবাদক), আমজাদ হোসেন (ড্রামবাদক), তানভির দাউদ রনি (কিবোর্ডবাদক) এবং সৌরভ সরকারকে (বাঁশিবাদক)।
গত ২৮ অক্টোবর অ্যাডভোকেট ইমরুল হাসান এই মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি ফৌজদারি দণ্ডবিধির ২৯৫(ক) ধারা এবং ১০৯ ধারায় দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আদালত সূত্র।
গত রোববার পিবিআইকে এই মামলার তদন্ত করে ১ ডিসেম্বরের আগে আদালতের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন ম্যাজিস্ট্রেট।
মামলার বাদী অভিযোগে বলেন, গত ২৬ অক্টোবর তিনি ইউটিউবে মেঘদলের একটি পরিবেশনা দেখতে পান, যা তার ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে’।
উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ‘সহিংসতার বিরুদ্ধে কনসার্ট’ আয়োজন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন রাজু স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে এই কনসার্ট আয়োজিত হয়।
এতে বেশ কয়েকটি ব্যান্ড ও একক শিল্পীসহ মেঘদল সঙ্গীত পরিবেশনা করে।
প্রসঙ্গত, ‘ওম’ গানটি ২০০৪ সালে মেঘদলের ‘দ্রোহের মন্ত্রে ভালোবাসা’ শিরোনামের প্রথম অ্যালবামে প্রকাশিত হয়েছিল।
মামলাটি হওয়ার পর বিভিন্ন শিল্পী ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মেঘদলের পাশে দাড়াও’ হ্যাশট্যাগসহ পোস্ট করেন। ব্যান্ডের বিভিন্ন গান শেয়ার করে তারা মেঘদলের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ইমরুল হাসান গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি বাউল গায়ক রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে ধর্ম নিয়ে ‘অবমাননাকর বক্তব্য’ দেওয়া এবং গানের মাধ্যমে ‘মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছিলেন।
এই মামলার বিচার কার্যক্রম ঢাকা সাইবার ট্রাইবুনালে মুলতবি রয়েছে।