মিহির ঘোষসহ ৬ সিপিবি নেতাকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে ঢাকায় বিক্ষোভ
সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য কমরেড মিহির ঘোষ, ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ছাদেকুল ইসলামসহ গাইবান্ধার ৬ নেতাকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে ঢাকায় তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ জানুয়ারি, বুধবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি, ঢাকা দক্ষিণের উদ্যোগে বিকেল সাড়ে ৪টায় পল্টন মোড়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা দক্ষিণ কমিটির সভাপতি শামসুজ্জামান হীরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি সভাপতি জননেতা কমরেড মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য রফিকুজ্জামান লায়েক, সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কমরেড জলি তালুকদার, সিপিবি ঢাকা উত্তরের সাধারণ সম্পাদক লুনা নূর, সিপিবি ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন। সমাবেশটি পরিচালনা করেন সিপিবি ঢাকা দক্ষিণের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য ত্রিদিব সাহা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, এখন জনতার আন্দোলন দমনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় নেতৃবৃন্দকে জেলখানায় বন্দি করা হচ্ছে।
বক্তারা সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, জেল-জুলুম দিয়ে জনতার আন্দোলন দমন করা যাবে না।
বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাইবান্ধার গিদারী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে ‘কাস্তে’ মার্কার প্রার্থী ছাদেকুল ইসলাম মাস্টারকে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে পরাজিত করা হয়েছে। সরকার দলীয় সাংসদসহ ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের যোগসাজশে বিরোধী মত দমন করতে সিপিবি নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। আজ সেই মামলায় সিপিবির ৬ নেতাকে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে সরকার ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের দাবিকে দমন করতে চায়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, যারা বাংলাদেশে নির্বাচনী ব্যবস্থার কবর রচনা ও ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন তারাই প্রকৃত দেশদ্রোহী। আজ যে সিপিবি নেতৃবৃন্দ মানুষের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন তারা প্রকৃত দেশপ্রেমিক।
বিক্ষোভ সমাবেশে থেকে অবিলম্বে সিপিবি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য মিহির ঘোষ, ‘কাস্তে’ মার্কার প্রার্থী ছাদেকুল ইসলাম মাস্টারসহ ৬ নেতার মুক্তি এবং হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।