প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য স্বৈরতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ
দেশের বিরোধী দল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে দেশে বিরোধী রাজনৈতিক দল বিকাশের প্রধান বাঁধা, যা সরকারের চরম স্বৈরতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসনের বহিঃপ্রকাশ বলে মত ব্যক্ত করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট।
গতকাল (১২ এপ্রিল), মঙ্গলবার বিকালে সেগুনবাগিচায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভা থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
বাম নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দমন করে জনম্যান্ডেটবিহীন ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে গিয়ে বিরোধী রাজনীতিকে তারা প্রবল ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।
তারা বলেন, যে সরকার বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে ভয় পেয়ে হামলা- আক্রমণ করে, বিরোধী দলকে দুর্বল ও ছত্রভংগ রাখতে নির্যাতন-নিপীড়ন অব্যাহত রাখে বিরোধী রাজনৈতিক দল নিয়ে তাদের হাহুতাশ এক ধরনের রসিকতা ছাড়া আর কিছু নয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সরকার ও সরকারি দলের যদি ন্যূনতম কোন অঙ্গীকার থাকে তাহলে তারা তারা যে গণতান্ত্রিক অধিকার ভোগ করেন বিরোধী রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের জন্যও একই অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে গার্মেন্টসসহ সকল সেক্টরে শ্রমিকদের যাবতীয় বেতন ভাতা পরিশোধ করতে মালিক ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে এই সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ-মার্কসবাদীর সমন্বয়ক মাসুদ রানা, ওয়ার্কার্স পার্টি- মার্কসবাদীর সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আবদুল আলী, বাম জোটের কেন্দ্রীয় নেতা মোশাররফ হোসেন নান্নু, আকবর খান, বাচ্চু ভূঁইয়া, শহীদুল ইসলাম সবুজ, মুনিরুদ্দিন পাপ্পু, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, রাশেদ শাহরিয়ার, বিধান দাস প্রমুখ।