পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ; উঠেছে প্রশ্ন
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন শাহবাজ শরিফ।
কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর অনিশ্চয়তার পর সোমবার তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন।
বিবিসি বাংলা (অনলাইন) –এর এক সংবাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ভবনে ওই শপথ অনুষ্ঠান হলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন না প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। ফলে সিনেটের চেয়ারম্যান সাদিক সানজারানি তাকে শপথ পড়ান।
বিবিসি উর্দু জানাচ্ছে, ওই অনুষ্ঠানে আরেকজন ব্যক্তির অনুপস্থিতি অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সামরিক বাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না।
তবে পিএমএল-এন’য়ের সকল সদস্য, পিপিপির বিলওয়াল ভুট্টো জারদারিসহ শীর্ষ নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তবে আসিফ আলি জারদারি অনুষ্ঠানে ছিলেন না।
এদিকে পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম জং ডট কম জানিয়েছে, সোমবার পিটিআই রাজনৈতিক কমিটি একটি বৈঠক করেছে। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এখন থেকে তারা সভা-সমাবেশ করার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মসূচী অব্যাহত রাখবে।
চেয়ারম্যান ইমরান খান বলেছেন, তিনি পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছেন, তাই সেখানে আর যাবেন না। বরং পিটিআই এখন তৃণমূল পর্যায় থেকে নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করবে। এভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করা হবে।
পাকিস্তানে সরকার বদলের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জেন সাকি বলেছেন, পাকিস্তানে এক সরকারের বদলে আরেক সরকার আসবে-যাবে, সেটা আমাদের চাওয়া নয়। আমরা চাই দেশটিতে সাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা হবে।’
তিনি বলেছেন, ‘একটি সমৃদ্ধ এবং গণতান্ত্রিক পাকিস্তানের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, তাতে ক্ষমতায় যেই থাকুন না কেন, তাতে কিছু যায় আসে না।
এদিকে নব নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, পাকিস্তানের বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য বন্ধু হচ্ছে চীন। চীন সবসময়েই আমাদের বন্ধু ছিল, চিরদিন থাকবে। কেউ চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে পারবে না।
নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক পরিচালিত হবে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা (অনলাইন)।