তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত, স্থগিত পার্লামেন্ট
করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের অব্যবস্থাপনার জেরে সহিংস বিক্ষোভের পর তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কায়েস সাইদ গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দেশটির প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছেন। এ ছাড়া তিনি ৩০ দিনের জন্য সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন পার্লামেন্ট।
প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি নতুন প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় এবার নিজেই দায়িত্ব নেবেন। তিনি আরও জানান যে তিনি দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে চান।
কিন্তু বিরোধীরা তার এই পদক্ষেপকে সামরিক অভ্যুত্থান হিসাবে আখ্যা দিয়েছে।
বৃটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি আজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিসে আল-জাজিরার ব্যুরো দপ্তরে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে সব কর্মীকে বের করে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের ফোন বন্ধ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অন্যান্য সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
তিউনিসের আল–জাজিরার সাংবাদিকেরা বলেন, অন্তত ১০ জন সশস্ত্র পুলিশ কার্যালয়ে প্রবেশ করে। কিন্তু তাদের কাছে অভিযানের পরোয়ানা ছিল না।
আল-জাজিরার ব্যুরো প্রধান লতিফ হাজি বলেন, ‘এ ধরনের তল্লাশির কোনো নোটিশ আমাদের আগে দেওয়া হয়নি।’
সাংবাদিকেরা বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের মুঠোফোন বন্ধ করতে নির্দেশ দেন। এমনকি তাঁদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র আনতেও অফিসে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট কাইস সাইয়েদ তার ভবনে জরুরি নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকের পর এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, “আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যতক্ষণ না পর্যন্ত তিউনিসিয়ায় সামাজিক শান্তি ফিরে আসে এবং দেশকে রক্ষা করা যায়।”
রবিবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রী হিচেম মেচিচিকে বরখাস্ত করা হয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা উৎসব করতে থাকে।
অন্যদিকে রাজধানী তিউনিস ও অন্যান্য শহরগুলোয় হাজার হাজার মানুষ ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে এবং “বেরিয়ে যাও” শ্লোগান দিয়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার আহ্বান জানায়।
এ সময় সংসদ ও এর আশেপাশের রাস্তা অবরোধ করে নিরাপত্তা বাহিনী।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে তিউনিসিয়ায় বিপ্লব চলাকালীন বাউরগুইবার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।