ডেসটিনি এমডির ‘জুম মিটিং’, প্রধান কারারক্ষীসহ ৭ জন প্রত্যাহার
কারাবন্দি অবস্থাতেই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন ‘মোবাইলে ভার্চুয়াল মিটিং’ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷
বিষয়টি ধরা পড়ার পর দায়িত্বে অবহেলার কারণে বুধবার (৩০ জুন) একজন প্রধান কারারক্ষীসহ ৭ জন সাধারণ কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে কারাকর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে দুই মাস আগে হাসপাতালে ভর্তি হন ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের কারাবন্দি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন।
গত মে ও জুনে তিনি হাসপাতালে বসে মোবাইল ফোন ও জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন মিটিংয়ে অংশ নেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় সন্ধ্যায় একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজনস) তৌহিদুল ইসলামকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) দায়িত্বরত ৮ কারারক্ষীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাদেরকে বিএসএমএমইউ থেকে প্রত্যাহার করে সাধারণ ডিউটি দেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ‘ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড’ নামে একটি মাল্টিলেভেল মার্কেটিং কোম্পানি দিয়ে ২০০০ সালে ডেসটিনি গ্রুপের যাত্রা শুরু৷ এক দশকের মধ্যে বিমান পরিবহন, আবাসন, কোল্ডস্টোরেজ, জুট মিল, মিডিয়া, বনায়নসহ বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কোম্পানি খোলে এই গ্রুপ৷
কিন্তু মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের নামে ২০ লাখের বেশি মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১২ সালে মামলা হয়৷ সে বছরের অক্টোবরে রফিকুল আমীনসহ কোম্পানির অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার হন, বাকিরা পলাতক আছেন৷