গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় নেই: পিটার হাস
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রে রয়েছে মানবাধিকার সমুন্নত রাখা। গণমাধ্যমের স্বাধীনতাও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এসব ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে পিটার হাস জানান।
এছাড়াও র্যাবের উপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, এ দুটো বিষয় নিশ্চিত হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করা যাবে।
আজ (৩১ মে), মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী বছর অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে পিটার হাস বলেন, সম্প্রতি আমি আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠানের গুরুত্বের কথা বলছি, যেন বাংলাদেশের জনগণ অবাধে তাদের নেতা নির্বাচন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে কীভাবে কাজ করবে সেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে’।
তিনি জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ও নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
পিটার হাস বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকার, বাংলাদেশের জনগণ, গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের কাজ’।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর র্যাব এবং এর বর্তমান ও সাবেক ৭ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ গত কয়েক মাস ধরে নানা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, বাংলাদেশের বেসরকারি সংগঠনগুলো অভিযোগ করেছে যে র্যাব এবং অন্যান্য আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ২০০৯ সাল থেকে প্রায় ৬০০টি বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, ৬০০-রও বেশি লোকের অদৃশ্য হয়ে যাওয়া, এবং নির্যাতনের জন্য দায়ী।
কিছু রিপোর্টে আভাস পাওয়া যায় যে এসব ঘটনায় বিরোধীদলীয় সদস্য,সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের টার্গেট করা হয়েছে – বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
এতে ‘গুরুতর মানবাধিকার লংঘনমূলক কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত থাকার’ অভিযোগে বাংলাদেশের বিশেষ পুলিশ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এর ৬ জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়, “বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানের সময় র্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লংঘনের ব্যাপক অভিযোগ – আইনের শাসন, মানবাধিকার, মৌলিক স্বাধীনতা, ও বাংলাদেশের জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে হেয় করার মাধ্যমে – মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থকে হুমকির মুখে ফেলছে”।