কুড়িগ্রামে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী, সুনামগঞ্জ-সিলেট বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ায় জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে ২৫টি ইউনিয়নে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে প্রায় শতাধিক চর।
এদিকে সুনামগঞ্জের পর সিলেটও বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পানির উচ্চতা বাড়ায় বিদ্যুৎ বিতরণের উপকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কুড়িগ্রাম কার্যালয় জানিয়েছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা গেছে পানির তোড়ে নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে দুধকুমার নদীর তীর রক্ষা বাঁধের এক শ মিটার ভেঙে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি গ্রাম।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টার দিকে সিলেটের প্রধান নদী সুরমার কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বাড়ছিল।
সিলেট নগরের ২৫ থেকে ৩০টি এলাকায় হু হু করে পানি বাড়ছে। নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কয়েকটি এলাকায়। বাসাবাড়িতে হাঁটু থেকে কোমরসমান পানি। এদিকে কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলায়ও পানি বেড়ে চলছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।